বিপাকে সিরাজগঞ্জের দুগ্ধ খামারীরা
বিরোধী দলের ডাকা টানা অবরোধের কারণে বিপাকে পড়েছেন সিরাজগঞ্জের দুগ্ধ খামারীরা। পরিবহন সংকটের কারণে মিল্কভিটাসহ বিভিন্ন কোম্পানি আগে দু’বেলা সংগ্রহ করলেও এখন একবেলাও দুধ নিতে পারছেনা। ফলে খামারীরা উৎপদিত দুধের অর্ধেক পরিমান বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। খামারীদের অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয় বাজারে পানির দরে দুধ বিক্রি করতে। সব মিলিয়ে চরম আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে প্রতিক্ষণের কাছে এক খামারী বলেন, ৪০ টাকার পরিবর্তে এখন ২০ টাকা কেজি ধরে বাজারে দুধ বিক্রি করছি। বাজারে খৈল-ভূসির যে দাম তা তাতে দৈনিক যে খরচ হয় তাই ওঠে না। এভাবে চলতে থাকলে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা খুব কঠিন হবে আমাদের।
অপর এক খামারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, অভাবের কথা। তিনি বলেন, অবরোধের কারণে দুধ বিক্রি করতে পারেননি তাই অভাবে এখন সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গরুর খাদ্য কেনার টাকাও হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মিল্কভিটার পরিচালক নজরুল ইসলাম নকির আমাদেরকে জানান, পুলিশ-প্রশাসনের সহায়তায় অল্প পরিমাণ দুধ সংগ্রহ করা হচ্ছে খামারীদের কাছ থেকে। অবরোধ চলাকালীন সময়ে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ করছেন তারা।
আর এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ আহ্বান জানান, দুধের মতো প্রয়োজনীয় শিশুখাদ্যের অবাধ সরবরাহ নিশ্চিত করার।
খামারীসহ সংশ্লিষ্টদের দাবি পণ্যবাহী পরিবহন হরতাল-অবরোধের আওতামুক্ত রাখার।